Association between TCF7L2 polymorphism and type 2 diabetes

Posted on: November 22, 2022, by :

চট্টগ্রামে প্রতি তিনজনে একজন ডায়বেটিস রোগীর জিনগত ভিন্নতা : চবি, চমেক ও ডায়বেটিস হাসপাতালের গবেষনা

ডায়বেটিস রোগের অনেকগুলো কারন যেমন আমাদের জানা, ঠিক তেমনি অনেক ক্ষেত্রে ডায়বেটিস কেন হচ্ছে সেটাও আবার অজানা। বলা হয় স্থুলতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সুষম ও নিয়ন্ত্রিত খাবার না খাওয়া এরকম অনেক কিছুই দায়ী। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে এর কোনটার সাথেই সম্পর্ক পাওয়া যায়না। তাহলে কি হতে পারে পেছনের কারন? পুর্বের বিভিন্ন গবেষনায় ধারনা করা হচ্ছে মানব কোষের ডিএনএ‘তে অবস্থিত বিশেষ কিছু জিন ডায়বেটিস এর পেছনের কারিগর হতে পারে। কিছু কিছু জিনের মিউটেশন/ পলিমরফিজম তথা পরিবর্তন শরীরে গ্লুকোজ কে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয় এবং ডায়বেটিস এর উদ্রেগ করে।এ রকম একটি জিন হল TCF7L2। বাংলাদেশে আমরা ৩০০ জন ডায়বেটিস রোগী এবং প্রায় সমসংখ্যক সুস্থ মানুষের উপর গবেষনা করে পেয়েছি প্রতি তিনজন ডায়বেটিস রোগীর মধ্যে একজনের এই জিনের পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তন থাকলে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই কোলেস্টেরল, এসজিপিটি নামের শারীরবৃত্তীয় যৌগের মাত্রা বেশী থাকে। স্প্রিঙ্গার থেকে প্রকাশিত “মলিকুলার বায়োলজি রিপোর্টস” শীর্ষক জার্নালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং ডায়বেটিস হাসপাতালের সাম্প্রতিক এক গবেষনায় এটি দেখা গেছে। গত সাড়ে তিন বছর ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগ এবং চট্টগ্রাম ডায়বেটিস হাসপাতালে এই গবেষনা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

**বিশেষ কি পাওয়া গেছে?

এই জিনগত পরবর্তন যাদের পাওয়া গেছে তাদের প্রায় নব্বই ভাগের চিকিৎসায় দেখা গেছে ডায়বেটিস এর সবচেয়ে সুপারহিট ড্রাগ তথা প্রতিষেধক ইনসুলিন এবং মেটফরমিন – এই রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে না। এর মানে হতে পারে দুটো – ১। খুব সম্ভবত ডায়বেটিস এর যেসব মেকানিজম বা কোষীয় কার্পদ্ধতি পরিবর্তনের বিপরীতে এইসব ঔষধ ব্যবহার হয়, এই জিনগত পরিবর্তন হয়তবা সেরকম কোন মেকানিজম নয় বরং ভিন্ন কোন কৌশলে গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়ায় অথবা ২। ইনসুলিন বা মেটফরমিন এর ব্লকার বা বাঁধা হিসেবে কাজ করে এই জিনের পরিবর্তিত রুপ বা তার থেকে তৈরি প্রোটিন। তবে এরকম উপসংহারে আসতে অন্তত ২৫০০০- ৩০০০০ লোকের উপর কাজ করা উচিত এবং cell culture পদ্ধতিতে কোষের উপর পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমাদের ধারনা যদি সঠিক হয় তাহলে ভবিষ্যতে এই জিনের মিউটেশন দেখে হয়তবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারন করতে পারা যাবে ডায়বেটিস রোগীদের। তবে আপাতত এটা সুদূর পরাহত কল্পনা, অনেক বেশী তথ্য উপাত্ত প্রমানের প্রয়োজন এজন্য।

**কাদের মাঝে বেশী পাওয়া গেছে?

যেসন ডায়বেটিস রোগী স্থুল/ অতিরিক্ত ওজন বা উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মাঝে এই জিনগত পরিবর্তন বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে।

**কেন জিন নিয়ে গবেষনা?

ডায়বেটিস রোগীদের খুব অল্প বয়সে রোগ সনাক্ত করা সম্ভব যদি এরকম কোন জিনগত পরিবর্তনের সাথে সরাসরি সম্পর্ক প্রমান করা যায়। এজন্য এই গবেষনা অনেক বিশদ আকারে করা প্রয়োজন।